এক নজরে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট

এক নজরে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট

ওয়েব ডিজাইন কি?

একটি ওয়েব সাইট ওপেন করলে যেই কাঠামো বা আকৃতি দেখা যায় তা হল একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন।

একটি ওয়েব সাইট দেখতে কেমন হবে, কালার কম্বিনেশন কেমন হবে, হেডার ফুটারের ডিজাইন কেমন হবে ইত্যাদি যিনি বিবেচনা করে কাজ করেন তাকে বলা হয় ওয়েব ডিজাইনার। অর্থাৎ একটি পুরো ওয়েব সাইটের আউটলুক তৈরি করেন ওয়েব ডিজাইনার।

ক্রিয়েটিভ বা সৃজনশীল চিন্তাধারী মানুষের জন্য ওয়েব ডিজাইন একটি শক্তিশালী স্কিল হিসেবে যুক্ত হতে পারে। ওয়েব ডিজাইনারদের বলা হয় ফ্রন্ট-এন্ড ডেভলপার। 

একজন ওয়েব ডিজাইনারকে একটি ওয়েব সাইট ডিজাইন করার জন্য মূলত HTML, CSS, JavaScript, WordPress সম্পর্কে জানতে হয়।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট কি?

কোনো ওয়েবসাইটকে জীবন্ত রুপ দিতে কাজ করতে হয় ডেভলপমেন্টের।  ডিজাইনিং এর ভিত্তিতে প্রোগ্রামিং বা কোডিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের পূর্ণতা দেন ওয়েব ডেভেলপাররা। ওয়েব ডেভলপারদের বলা হয় ব্যাক-এন্ড ডেভলপার।

শুধু প্রোগ্রামিং করাই কিন্তু ডেভেলপারদের কাজ না। আরও রয়েছে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ডাটা প্রসেসিং, প্রাইভেসি সেটিং, পেজ কানেক্টিং, সিকিউরিটি কন্ট্রোলিংসহ অনেক কিছু।

ওয়েব ডেভলপার হতে হলে JQuery, JavaScript, WordPress, Bootstrap, PHP, MySQL  সম্পর্কে জানতে হবে।

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট শেখার জন্য কি IT ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে?

  • IT ব্যাকগ্রাউন্ড না হলে যে আপনি ডিজাইনার/ডেভলপার হতে পারবেন না এমনটা নয়। ব্যাকগ্রাউন্ড আইটি হলে লজিকগুলো বুঝতে সুবিধা হয়, না হলেও কোনো সমস্যা নেই । একটু সময় লাগলেও মনোযোগী ও পরিশ্রমী হলে সহজেই শিখতে পারবেন।

অর্থাৎ যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই আপনি ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট শিখতে পারবেন।

ক্যারিয়ার তৈরির জন্য ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট স্কিল কতোটা সহায়ক?

প্রফেশনাল ভাবে কাজ শিখলে এই সেক্টরে কাউকে বসে থাকতে হয় না। কারণ জব সেক্টরে ডেভেলপারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা কমে যাবে বলে মনে করেন? তা কিন্তু না, কারণ এই ই-কমার্সের সময়ে দিন দিন ওয়েব সাইটের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর ওয়েব সাইট বাড়লে ডিজাইন ও ডেভলপমেন্টও বাড়বে।

গতানুগতিক বাধাধরা চাকরি করতে না চাইলে রয়েছে ফ্রীল্যান্সিং করার সুযোগ। অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমনঃ fiberr.com, freelancer.com, upwork.com এ ফ্রীল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন যেখানে ৫ ডলার থেকে কাজ শুরু হয় এবং দক্ষতা অনুযায়ী আয় বেড়ে ৫০০ ডলারের বেশিও হতে পারে। এছাড়া নিজের তৈরি ওয়েবসাইট গুলো আপনি বিক্রিও করতে পারেন themeforest.net এর মত সাইট গুলোতে।

কিভাবে, কোথায় শিখলে প্রফেশনালি কাজ শেখা যাবে?

  • শেখাটা অনেকটা নিজের উপরে নির্ভর করে। অর্থাৎ এখন শেখার অনেক সোর্স রয়েছে যেমনঃ google.com, youtube.com। আপনি নিজ উদ্যোগে গুগল, ইউটিউব থেকে শিখতে পারেন।

কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নিজে নিজে শেখা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় বা পুরোপুরি শেখা যায় না। তাই চাইলে আপনি কোনো আইটি ট্রেনিং সেন্টার থেকেও শিখতে পারেন যেখানে প্রফেশনালি কাজ শেখানো হয়।

আইটি সেন্টারের নাম সাজেশন চাইলে বলব PeopleNTech Limited এর কোর্স মডিউল গুলো দেখতে পারেন www.peoplentech.com.bd সাইটে।

সহজভাবে বলতে হলে যেখানেই শিখুন, পরিপূর্ণ ও সঠিকভাবে শিখুন যাতে আফসোস না থাকে যে ঠিকভাবে শেখা হল না। অবহেলা দূরে রেখে কষ্ট হলেও কাজ করুন। অবশ্যই সফলতা আসবে।

যেকোনো তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন,
১৫১/৭, গুড লাক সেন্টার (৭ম ও ৮ম তলা), পান্থপথ সিগন্যাল
গ্রীন রোড়, ঢাকা – ১২০৫, বাংলাদেশ
ফোন নং – ০১৭৯৯৪৪৬৬৫৫
ওয়েবসাইটঃ www.peoplentech.com.bd
ফেসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/peoplentechbd/

Share